শরীরটা যেন স্যাত স্যাতে লাগে টুকরো টুকরো নোনা জলে ।
কোনোটা প্রথম ভাঙ্গা বেনারসীর পারে ,
কোনোটা বা মুখে চাপা সাদা আঁচলে ,
কোনোটা আবার দুধের শিশুর প্রথম ভাত খাওয়ার ছলে ।
ওইঘরে বেশ মত্ত বাসর ,
ঠোঁটে ঠোঁটে লাগা প্রাণ খোলা হাসি।
মালারও হঠাৎ ইচ্ছে জেগেছে সবার দেখাদেখি,
নতুন শাড়ি প’ড়ে , ফটো তুলবে আজই।
কাঠে কাঠে ফের জ্বলবে আগুন , সাত পাক খাবে দু’জনে ,
আগুনের সাথে নিভবে স্বপ্ন , কাঁদবে বিভূতি নির্জনে।
একটা ছবি এক্ষুনি তোলা ,
সবে শিখছে হাঁটতে ,
অন্যটা গায়ে জল-কাদা মেখে
ফ্রেমে ফিরেছে জিরোতে ।
একঘরেতে পুলক সবে বলতে চেষ্টা করে ,
পাশেরটাতে ফরসা মালা ,
ফ্রেমের সাথে মূকাভিনয়ে মাতে।
তবে , সময় হ’লেই ভাড়া চুকিয়ে পুলক বলবে ‘আসি!’
সাদা কাপড়ে চাঁদমুখ ঢেকে ওইঘরেরও ফাঁসি !
“রুমাল দাও তো , জলগুলো মুছে আসি ,
নইলে পা পিছলে পড়বে ওরা ,
আর নন্দ ঘোষ হব আমি ।”
No comments:
Post a Comment